bengali kolkata easy chiken biriyani recipe

সহজে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন স্বাদে ভরপুর কোলকাতা স্টাইল অরিজিনাল চিকেন বিরিয়ানি


বাংলা তথা কোলকাতা স্টাইল অরিজিনাল চিকেন বিরিয়ানি ( Easy Authentic chicken biryani kolkata style recipe in Bengali) ভারতীয় খাবারের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় এবং সুস্বাদু একটি ডিশ। এই বিরিয়ানির বিশেষত্ব হলো তার মশলা, চাল, এবং মাংসের সঠিক ভারসাম্য, যা একে অন্য যেকোনো বিরিয়ানির তুলনায় একেবারে আলাদা করে তোলে। কোলকাতা বিরিয়ানির স্বাদ এমনভাবে মিশে থাকে যে একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করবে। এই রেসিপিটি খুব সহজেই তৈরি করা যায়, তবে মশলা, রান্নার পদ্ধতি এবং উপকরণের সঠিক সমন্বয় হলেই পাওয়া যায় আসল কোলকাতা স্টাইল বিরিয়ানির খাস স্বাদ। আজকে আমরা আপনাদের জন্য শেয়ার করব কোলকাতা স্টাইল চিকেন বিরিয়ানির সহজ, অথচ অরিজিনাল রেসিপি, যা বাড়িতে বানিয়ে আপনি পাবেন রেস্তোরাঁর মতো সুস্বাদু

চিকেন বিরিয়ানি শুধু একটি খাবার নয়, এটি একটি অসাধারণ  অভিজ্ঞতা! এর মশলাদার সুগন্ধ, নরম চিকেন এবং সুস্বাদু বাসমতি চালের সমন্বয়ে তৈরি একটি অভূতপূর্ব রেসিপি।  ঐতিহ্যবাহী স্বাদ ও গন্ধে বিশেষ, তেমনি এটি প্রায় প্রতিটি বাংলা বাড়ির খাবারের তালিকায়  একটি অপরিহার্য অংশ। এই রেসিপিটি তৈরি করতে কিছু বিশেষ মশলা, দই, এবং গরম মসলার ব্যবহার আপনাকে একদম অনবদ্য স্বাদ এনে দেবে। সুতরাং, যদি আপনি বিরিয়ানির আসল স্বাদ নিতে চান , তবে এই রেসিপি আপনার জন্য উপযুক্ত। একবার ট্রাই করুন, আর দেখুন, আপনার রন্ধন জগতে  কীভাবে এক নতুন মাত্রা যোগ করে!

কোলকাতা স্টাইল চিকেন বিরিয়ানি রেসিপির উপকরণ

Kolkata styele chiken biriyani’s ingredients

1. চিকেন (মাংস)  ৮০০ গ্রাম

2.  চাউল (বাসমতি)  ২ কাপ

3.  পেঁয়াজ   ২টি (কাটা)

 4. টমেটো  ১টি (কাটা)

5.  আদা রসুন বাটা   ২ টেবিল চামচ

6.  দই   ১/২ কাপ

7.  চালান রসুন, আদা, দারচিনি, এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা  ১ টুকরো

8.  গরম মসলা (গোলমরিচ, দারচিনি, এলাচ, তেজপাতা, লবঙ্গ)   ১ চা চামচ

 9. ধনে গুঁড়ো   ১ টেবিল চামচ

10.  জিরা গুঁড়ো   ১ চা চামচ

11.  হলুদ গুঁড়ো   ১/২ চা চামচ

12.  লাল মরিচ গুঁড়ো   ১ চা চামচ

 13. বিরিয়ানি মশলা (বাজারে পাওয়া যায়)   ২ টেবিল চামচ

 14. কাচা পেঁয়াজ   ১/২ কাপ

 15. তেল / ঘি   ৪ টেবিল চামচ

16.  লবণ   পরিমাণমতো

17.  কুচানো ধনেপাতা   সাজানোর জন্য

 18. জল   ৪ কাপ

চিকেন বিরিয়ানি রেসিপির প্রস্তুতি

.   চিকেন মেরিনেট করা  :

     চিকেন টুকরো গুলো ভালো করে ধুয়ে, দই, আদা রসুন বাটা, লাল মরিচ গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, গরম মসলা, লবণ, ও এক টেবিল চামচ তেল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে ৩০ মিনিট মেরিনেট করে রাখুন।

2.   চাল রান্না করা  :

     এক পাত্রে জল গরম করুন, তাতে তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, জিরা দিয়ে ফুটতে দিন। তারপর বাসমতি চাল দিয়ে ৮০% সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে নিন। (চাল একদম সেদ্ধ হবে না, মাঝখানে যেন অল্প সেদ্ধ থাকে)

3.   মাংস রান্না করা  :

     এক প্যানে তেল বা ঘি গরম করুন, তাতে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে সোনালি রঙ হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিন।

     পেঁয়াজ ভাজা হলে, তাতে আদা রসুন বাটা ও টমেটো কুচি দিয়ে ভালোভাবে মেশান। এরপর মেরিনেট করা চিকেন যোগ করে ভালো করে নাড়ুন।

     চিকেন যখন সেদ্ধ হতে শুরু করবে, তখন এক কাপ জল  এবং বিরিয়ানি মশলা দিয়ে ফুটতে দিন।

     মাংস সম্পূর্ণ সেদ্ধ হয়ে গেলে, দমে রান্নার জন্য প্রস্তুত।

4.   বিরিয়ানি তৈরি করা  :

     একটি বড় হাঁড়িতে এক স্তর চিকেন দিয়ে, তারপর এক স্তর চাল দিয়ে সাজান।

     এরপর বাকি চিকেন আর চাল দিয়ে স্তর বানান। উপরে একটু ঘি এবং ধনে পাতা ছড়িয়ে দিন।

     হাঁড়িটি ঢেকে দমে ১৫ ২০ মিনিট রান্না করুন (মাঝে মাঝে একে ঘুরিয়ে দিতে পারেন যাতে সব অংশে সমান তাপ লাগে)।

5.   জলের পরিমাণ  :

     গ্যাস ওভেনে চাপানোর  আগে, এক কাপ গরম জল  ঢেলে দিবেন যাতে চাল পুরোপুরি রান্না হয়ে যায়।

6.   প্লেটিং  :

     গরম গরম বিরিয়ানি পরিবেশন করুন। কিছু পেঁয়াজ, ধনে পাতা দিয়ে সাজাতে পারেন।

  বিশেষ টিপস: 

  আপনি যদি কাচা লংকা  ও গোলমরিচ পছন্দ করেন, তবে বিরিয়ানির সাথে কিছুটা অতিরিক্ত যোগ করতে পারেন।

  বিয়ানি তেল বা ঘিতে রান্না করলে স্বাদ আরো বাড়বে।

এই ডিসটি  তৈরি করতে কিছু বিশেষ   টিপস ও ট্রিকস   রয়েছে যা আপনার বিরিয়ানির স্বাদ ও গুণমান উন্নত করবে। এখানে কিছু কৌশল যা আপনার রেসিপিকে  পারফেক্ট করে তুলবে:

কিছু বিশেষ টিপস ও ট্রিকস যা স্বাদ ও গুণমান পারফেক্ট করে তুলবে

1.   চিকেন মেরিনেশন 

       প্রথমে মেরিনেট করুন  : চিকেন মেরিনেট করার সময় দই, আদা রসুন বাটা, গরম মসলা, লবণ এবং কিছু গরম মশলা দিয়ে মেরিনেট করুন। মেরিনেট করা হলে চিকেন নরম ও সুস্বাদু হয়। অন্তত ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা মেরিনেট করতে দিন।

       অতিরিক্ত গরম মসলা ব্যবহার করুন  :  গরম মসলা এবং বিরিয়ানি মশলার এক সাথে ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বিরিয়ানির স্বাদকে অন্যরকম গভীরতা দেয়।

2.   চাল সঠিকভাবে সেদ্ধ করুন 

       চাল পুরোপুরি সেদ্ধ করবেন না  : বিরিয়ানির চাল কখনও একদম সেদ্ধ করবেন না। চাল ৮০% সেদ্ধ রাখুন। এটি ধীরে ধীরে রান্না হওয়ার সময় বিরিয়ানির মধ্যে ভিজে যাবে এবং সুন্দরভাবে পুড়ে যাবে।

       পানি পরিমাণ ঠিক রাখুন  : এক কাপ চালের জন্য প্রায় ১.৫ থেকে ২ কাপ পানি প্রয়োজন, তবে খেয়াল রাখুন যাতে চাল বেশি না সেদ্ধ হয়ে যায়।

3.   সঠিক মশলার ভারসাম্য 

       বিরিয়ানি মশলার সঠিক পরিমাণ  : বিরিয়ানি মশলা এবং গরম মশলা ব্যবহারে ভারসাম্য রাখতে হবে। বেশী মশলা দিলে খাবারের স্বাদ ভারী হয়ে যেতে পারে। এটি সঠিক পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত, যাতে স্বাদ বজায় থাকে।

       তাজা মশলা ব্যবহার করুন  : গরম মসলা তাজা হলে ভালো স্বাদ পাওয়া যায়। সবসময় সেরা তাজা মশলা ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।

4.   চিকেন এবং চাল স্তরবদ্ধ করুন 

       স্তর করে সাজান  : বিরিয়ানি যখন হাঁড়িতে তৈরি করবেন, তখন চিকেন এবং সেদ্ধ চাল একে একে স্তর করে সাজান। প্রথমে চিকেন, তারপর চাল, আবার চিকেন এবং চালের পরত দিন। উপরে ঘি বা তেল দিয়ে সুন্দর করে সাজান।

       পানির যোগ করুন  : রান্নার শেষে, উপরে এক কাপ গরম পানি বা সেদ্ধ চিকেনের স্টক ছড়িয়ে দিন। এতে বিরিয়ানি আরও সফট ও সুস্বাদু হবে।

5.   দমে রান্না করা (Dum Cooking) 

       দমে রাখুন  : বিরিয়ানি সঠিকভাবে দমে রান্না করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাঁড়ি বা পাত্রটি ভালোভাবে ঢেকে রাখুন এবং কম তাপে ১৫ ২০ মিনিট দমে রান্না করুন। এটি মশলার সব স্বাদ এবং ঘ্রাণ ধরে রাখতে সাহায্য করবে।

       হাঁড়ির বাইরের অংশে আটা বা ময়দার আঠা লাগান  : এটি হাঁড়ির মধ্যে পুডিং বা বাষ্প যাতে বাইরে না বের হয়, তা নিশ্চিত করে এবং সঠিকভাবে দমে রান্না হতে সাহায্য করে।

6.   তেল ঘি ব্যবহার 

       ঘি ব্যবহার করুন  : কোলকাতা বিরিয়ানির আসল স্বাদ পেতে, তেল ও ঘির একটি সঠিক ভারসাম্য প্রয়োজন। বেশি তেল ব্যবহার করলে মিষ্টি হয়ে যেতে পারে, আবার কম ঘি ব্যবহারে স্বাদ কমে যেতে পারে। সুতরাং, সঠিক পরিমাণে ঘি ব্যবহার করুন।

7.   পেঁয়াজের ভাজি 

       সোনালি পেঁয়াজ ভাজা  : পেঁয়াজ কুচি করে সোনালি রঙ হওয়া পর্যন্ত ভাজুন এবং বিরিয়ানির উপর ছড়িয়ে দিন। এটি স্বাদ এবং সুন্দর রঙ যোগ করবে।

       কাঁচা পেঁয়াজ ও সেন্না পাতাও ব্যবহার করতে পারেন  : কোলকাতা স্টাইলে কখনও কখনও সেন্না পাতাও যোগ করা হয়, যা বিরিয়ানির স্বাদকে আরও বিশেষ করে তোলে।

8.   সঠিক রেসিপি অনুসরণ করুন 

       রেসিপি যথাযথ অনুসরণ করুন  : বিরিয়ানি একটি প্রযুক্তিগত খাবার। ছোট ছোট ভুল স্বাদে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। তাই সঠিক পরিমাণে মশলা, তেল, পানি এবং মশলা যোগ করুন।

9.   মশলার ঘ্রাণ এবং রঙ 

       মশলার ঘ্রাণ  :  গরম মসলা এবং বিরিয়ানি মশলা সঠিকভাবে প্যানে ভেজে নিতে ভুলবেন না। এটি স্বাদ এবং সুগন্ধ বাড়ায়।

       এলাচ, দারচিনি, তেজপাতা  : এগুলোর স্বাদ ও ঘ্রাণ বিরিয়ানিতে অসাধারণ ভূমিকা পালন করে। এগুলোর পরিমাণ ঠিক রাখুন।

10. সাজানো পরিবেশন

       ধনে পাতা এবং ভাজা পেঁয়াজ দিয়ে সাজান  : বিরিয়ানি পরিবেশন করার সময় উপরে কিছু ধনে পাতা এবং ভাজা পেঁয়াজ দিয়ে সাজাতে পারেন। এটি সুগন্ধ এবং রঙ বাড়াবে।

এই টিপস গুলি মেনে চললে, আপনার চিকেন বিরিয়ানি হবে রেস্তোরাঁর মতো স্বাদ, আর একেবারে পারফেক্ট!

কিছু বিশেষ সাইড ডিশ এর সাথে পরিবেশন এটিকে করবে আরো মজাদার

কিছু বিশেষ সাইড ডিশ এর সাথে পরিবেশন করলে খাবারের স্বাদ আরও বৃদ্ধি পায় এবং একটি পূর্ণাঙ্গ মজাদার খাবার তৈরি হয়। এখানে কিছু জনপ্রিয় সাইড ডিশ দেওয়া হলো, যেগুলি কোলকাতা স্টাইল চিকেন বিরিয়ানির সাথে পরিবেশন করলে আপনার খাবারকে আরও উপভোগ্য করবে:

1. ডাহি (Yogurt)

     চাটনি বা রায়তা: কোলকাতা বিরিয়ানির সাথে সবচেয়ে জনপ্রিয় সাইড ডিশ হলো দই বা রায়তা। সাধারণত, টক দই বা মশলাদার রায়তা বিরিয়ানির ঝাল এবং মশলার ভারসাম্য রাখে। আপনি আদা, ধনে পাতা, পুদিনা, লাল মরিচ, এবং কিছু তাজা শসা ও টমেটো দিয়ে রায়তা তৈরি করতে পারেন।

     মসলা দই: এতে লাল মরিচ, জিরা গুঁড়ো, হলুদ এবং কিছুটা চিনি দিয়ে মশলাদার দই তৈরি করা হয়, যা বিরিয়ানির সাথে একসাথে খেতে মজাদার।

2. আচার (Pickles)

     আচার (Pickles): কোলকাতা বিরিয়ানির সঙ্গে আচার খুবই জনপ্রিয়। বিশেষত, লেবু বা গাজরের আচার বা আমের আচার অনেক ভালো লাগে। আচার অতিরিক্ত টক এবং মশলাদার স্বাদ বিরিয়ানির সঙ্গে ভালো মিল খায়।

     মিষ্টি আচার: কিছুটা মিষ্টি আচারও, যেমন, মিষ্টি পেঁয়াজ বা আমলকি আচার, বিরিয়ানির একেবারে পরিপূরক হতে পারে।

3. মশলা মুরগির কাবাব বা ফ্রাইড চিকেন

     মুরগির কাবাব বা ফ্রাইড চিকেন: যদি আপনি বিরিয়ানির সঙ্গে আরও কিছু প্রোটিন খাবার চান, তবে মশলাদার কাবাব বা ফ্রাইড চিকেন খুব ভালো সাইড ডিশ হতে পারে। এগুলি খেতে সুস্বাদু এবং বিরিয়ানির স্বাদে আরও আকর্ষণ যোগ করে।

4. ফ্রেশ স্যালাড

     শসা, টমেটো এবং পেঁয়াজের স্যালাড: বিরিয়ানি ভারী এবং মশলাদার হওয়ার কারণে, একটি সিম্পল ফ্রেশ স্যালাড এটি ভারসাম্যপূর্ণ করে। শসা, টমেটো, পেঁয়াজ, ধনে পাতা, কাঁচামরিচ, এবং লেবুর রস দিয়ে স্যালাড তৈরি করা যেতে পারে।

     পুদিনা স্যালাড: পুদিনা পাতার তাজা স্বাদ বিরিয়ানির স্বাদের সঙ্গে সুন্দরভাবে মিশে যায়।

5. সেদ্ধ ডিম (Boiled Eggs)

    সেদ্ধ ডিম: বিরিয়ানির সঙ্গে সেদ্ধ ডিম পরিবেশন করলে খাবারের স্বাদ আরও বেড়ে যায়। এক বা দুটি সেদ্ধ ডিম উপরে সাজিয়ে দিলে, এটি অতিরিক্ত প্রোটিন এবং স্বাদ যোগ করবে।

6. চাট (Chaat)

   পাপরি চাট বা বেহলি চাট:  বিরিয়ানি পরিবেশন করার আগে বা পরে আপনি একটি ছোট portion পাপরি চাট বা বেহলি চাট পরিবেশন করতে পারেন। এটি মশলাদার এবং টক ঝাল মিষ্টি স্বাদে সিজনিং পায়, যা বিরিয়ানির মশলা ও টক দইয়ের সঙ্গে খুব ভালো চলে।

7. ভুজিয়া (Bengali Bhaja)

    বেগুন বা আলু ভাজা:  কোলকাতা স্টাইলে বিরিয়ানির সাথে অনেকেই পছন্দ করেন বেগুন বা আলু ভাজা। এগুলি সাধারণত তেলের মধ্যে ভাজা হয় এবং উষ্ণ পরিবেশে বিরিয়ানির সঙ্গেই পরিবেশন করা হয়।

8. মিষ্টি (Dessert)

  রসমালাই বা ক্ষীর:  কোলকাতার জনপ্রিয় মিষ্টি রসমালাই বা ক্ষীর বিরিয়ানির পরে একটি দারুণ ডেজার্ট হতে পারে। মিষ্টির স্বাদ বিরিয়ানির ঝাল এবং মশলা সম্পূর্ণভাবে কমিয়ে দেয়।

   তরমুজ বা কুলফি:  গরমে বা ভারী খাবারের পরে ঠান্ডা কিছু মিষ্টি যেমন তরমুজ বা কুলফি, বিরিয়ানির পর খুবই তৃপ্তিদায়ক।

এই সাইড ডিশগুলো বিরিয়ানির সঙ্গে পরিবেশন করলে আপনার খাবার আরও সুন্দর এবং সুস্বাদু হয়ে উঠবে। এছাড়াও, আপনার পরিবার বা অতিথিরা এই মজাদার সাইড ডিশগুলো নিয়ে দারুণ উপভোগ করবে!

চিকেন বিরিয়ানি সম্পর্কিত কিছু সাধারণ প্রশ্ন (FAQs)
  1. এইবিরিয়ানি কি বিশেষত্ব?
    • মশলার মিশ্রণ, সুগন্ধ, এবং পদ্ধতির জন্য বিশেষ। এটি সাধারণত দই, গরম মসলা এবং বিরিয়ানি মশলা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়, যা তার স্বাদ এবং গন্ধে এক অনন্যত্ব যোগ করে। কোলকাতার বিরিয়ানি সাধারণত একটু বেশি মশলাদার এবং একটু মিষ্টি স্বাদের হয়।
  2. এইচিকেন বিরিয়ানির মূল উপকরণ কী?
    • কোলকাতা স্টাইল চিকেন বিরিয়ানি তৈরি করতে প্রয়োজনীয় উপকরণগুলির মধ্যে রয়েছে: বাসমতি চাল, চিকেন, দই, আদা রসুন বাটা, গরম মসলা, লাল মরিচ গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, বিরিয়ানি মশলা, পেঁয়াজ, টমেটো, এবং ঘি।
  3. এইবিরিয়ানিতে কি পেঁয়াজ ভাজা জরুরি?
    • হ্যাঁ, পেঁয়াজ ভাজার মাধ্যমে বিরিয়ানিতে একটি মিষ্টি এবং খাস স্বাদ যোগ হয়, যা কোলকাতা স্টাইল বিরিয়ানির বিশেষত্ব। সোনালি রঙের পেঁয়াজ ভাজা এটি আরও সুগন্ধি ও সুস্বাদু করে তোলে।
  4. এইবিরিয়ানির সাথে কোন সাইড ডিশ ভালো চলে?
    • কোলকাতা স্টাইল চিকেন বিরিয়ানির সাথে সাধারণত দই বা রায়তা, পাপরি চাট, মশলা কাবাব, শসা টমেটোর স্যালাড এবং লেবুর টুকরো পরিবেশন করা হয়। এই সাইড ডিশগুলি বিরিয়ানির মশলা এবং স্বাদকে ব্যালান্স করে।
  5. এইবিরিয়ানি দমে রান্না করা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
    • দমে রান্না করার মাধ্যমে মশলা এবং সুগন্ধ সঠিকভাবে চাল এবং চিকেনের মধ্যে মিশে যায়। এটি স্বাদের উন্নতি ঘটায় এবং বিরিয়ানিকে আরও সুস্বাদু ও নরম করে তোলে।
  6. চিকেন বিরিয়ানি তৈরি করতে কত সময় লাগে?
    • চিকেন বিরিয়ানি তৈরি করতে প্রায় ১.৫ থেকে ২ ঘণ্টা সময় লাগে, মেরিনেশন সহ। তবে এটি বাড়ি বা নিজের সময় অনুযায়ী কমবেশি হতে পারে।
  7. এইবিরিয়ানি কি ভেজিটেরিয়ান হিসেবে তৈরি করা সম্ভব?
    • হ্যাঁ, কোলকাতা স্টাইল বিরিয়ানি ভেজিটেরিয়ানও তৈরি করা যায়। চিকেনের বদলে সয়াবিন, আলু, পনির, বা ভেজিটেবলস ব্যবহার করা যেতে পারে, এবং মশলাগুলিও একইভাবে ব্যবহৃত হয়।
  8. এইবিরিয়ানির পদ্ধতি কি সহজ?
    • যদিও কোলকাতা স্টাইল চিকেন বিরিয়ানি তৈরির পদ্ধতি কিছুটা সময়সাপেক্ষ, তবে উপকরণ এবং পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ করলে এটি একটি সহজ এবং সুস্বাদু রান্না হয়ে ওঠে। সঠিক মশলা এবং দমে রান্না করার মাধ্যমে স্বাদ আরও উন্নত হয়।
  9. এইবিরিয়ানি কি খুব মশলাদার?
    • কোলকাতা স্টাইল বিরিয়ানি সাধারণত মশলাদার হয়, তবে আপনি মশলার পরিমাণ কমিয়ে স্বাদ কম বা ঝাল করতে পারেন। আপনার স্বাদ অনুসারে মশলা সামঞ্জস্য করা যায়।
  10. কি সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা যায়?
    • সঠিকভাবে রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করে ২ ৩ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যেতে পারে। আবার, মাইক্রোওভেনে গরম করে বা স্টোভে হালকা করে খাবার খাওয়া যায়।

এই FAQs গুলোর মাধ্যমে চিকেন বিরিয়ানি সম্পর্কে আপনার যেকোনো সন্দেহ দূর হবে এবং রান্না করতে সহায়ক হবে!